কোলন ক্যান্সার

কোলন বা মলাশয় ক্যান্সার

পরিবেশ বা বংশগত প্রভাবের কারণে মলাশয়ের মিউকোসাল এপিথেলিয়ামের টিউমারটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে পরিণত হলে তখন তাকে কোলন বা মলাশয়ের ক্যান্সার বলে। এটি সাধারণত মলাশয় এবং মলদ্বারের সংযোগস্থানে হয়। সম্ভাবনার দিক দিয়ে গ্যাস্ট্রিক, খাদ্যনালী এবং কোলন ক্যান্সারের মধ্যে এর স্থান দ্বিতীয়। সাধারণত ৪০ বছর পার হওয়া বয়সের রোগীদের ক্ষেত্রে এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশী দেখা যায়। এছাড়া ৪০ বছরের নিচে কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ১৫% ।

কোলন ক্যান্সার হওয়ার কারণ

পরিবেশ ও জিনগত কারণে বৃহদন্ত্র ও মলাশয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা পাঁচ ভাগ বৃদ্ধি পায়। খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত গরু বা ছাগলের মাংস খাওয়া, খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের অনুপস্থিতি, ধূমপান ও মদ্যপান এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

স্থুলকায় ব্যক্তিদের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকে ব্যায়াম ( বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে) এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। বৃহদন্ত্র ও মলাশয় ক্যান্সার হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস রোগটির সম্ভাবনা বাড়ায়। বিশেষ করে মা, বাবা, ভাই কিংবা বোনের বৃহদন্ত্র ও মলাশয় ক্যান্সার হওয়ার ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়ে।

এছাড়া অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।https://www.youtube.com/watch?v=C4BNexUHAnw&t=11s

লক্ষণ
ক্যালোরেক্টাল ক্যান্সার সম্পর্কিত লক্ষণগুলি অসংখ্য এবং অনাদায়ী। এর মধ্যে ক্লান্তি, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন, সংকীর্ণ মল, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, মলের লাল বা কালো রক্ত, ওজন হ্রাস, পেটে ব্যথা, পেটে চাকা বা ফোলাভাব, অন্তর্ভুক্ত। জ্বালাময়ী আন্ত্রিক সিন্ড্রোম (স্পাস্টিক কোলন), আলসারেটিভ কোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভার্টিকুলোসিস এবং পেপটিক আলসার রোগের মতো অন্যান্য পরিস্থিতিতেও মলাশয় ক্যান্সারের লক্ষণ থাকতে পারে।

দুর্ভাগ্যবশত আমরা রোগীদের রোগটির অতিমাত্রায় অগ্রসর অবস্থায় পাই যাদের অধিকাংশই পূর্বে অপ-চিকিৎসার শিকার।

ভারতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ভিডিও কনফারেন্সে চিকিৎসা পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন  01886655200 ভিজিট করুন http://www.doctorslinkbd.com  

কোলন ক্যান্সার কিভাবে হয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *